শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:০০ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
নবীনগরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ্ আল বাকীকে সংবর্ধনা প্রদান। কালের খবর খাগড়াছড়ি-রাঙামাটিতে সংঘর্ষ : তিন জেলার মানুষকে শান্ত থাকার আহ্বান সরকারের। কালের খবর ছোট চাকরি করেও কোটিপতি মানিকগঞ্জের শামীম। কালের খবর যশোরে অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার ৯৫ টি। কালের খবর খাগড়াছড়িতে সংঘর্ষে নিহত ৩, গুলিবিদ্ধ ৪। কালের খবর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে তিন আমলেই দাপটের সঙ্গে রাজত্ব করেছেন নুরে আলম ভূঁইয়া। কালের খবর অবৈধ ৩৪৯১টি ইটভাটা বন্ধ করা হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা। কালের খবর নবীনগর সরকারি কলেজে ডিজিটাল হাজিরা চালু। কালের খবর দীর্ঘ ১৬ বছর পর দেশে আসলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিএনপি নেতা ইব্রাহিম। কালের খবর মন্দিরের হিসাব নিয়ে দ্বন্ধে মাদারীপুরে কৃষককে পিটিয়ে হত্যা : দোষীদের বিচারের দাবীতে মানববন্ধন। কালের খবর
১ লাখ ২০ হাজার পিছ ইয়াবা উদ্ধার,স্বামী-স্ত্রীসহ ৫ জনকে আটক

১ লাখ ২০ হাজার পিছ ইয়াবা উদ্ধার,স্বামী-স্ত্রীসহ ৫ জনকে আটক

কালের খবর প্রতিবেদক : রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১ লাখ ২০ হাজার পিছ ইয়াবা, এ কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাস এবং স্বামী-স্ত্রীসহ ৫ জনকে আটক করেছে র‌্যাব। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার ভোরে বসুন্ধরার জি ব্লকের রোড-১০ এর ১৫০ নম্বর বাড়িতে র‌্যাব-১ এর একটি দল এ অভিযান চালায়। উদ্ধারকৃত ইয়াবার আনুমানিক মূল্য ২ কোটি ১৬ লাখ টাকা।

আটককৃতরা হলেন- সিরাজুল ইসলাম রুবেল (৩২), তার স্ত্রী সুমাইয়া সুলতানা রিয়া ওরফে শিখা (২৪), মফিজুল ইসলাম (২৮), শাকের (২৪) ও জসিম উদ্দিন (২২)।
সোমবার বিকেল রাজধানীর কারওয়ান বাজারে নিজস্ব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল সারোয়ার বিন কাশেম।

তিনি জানান, গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার আড়ালে ইয়াবা বিক্রি ও সরবরাহের কাজ করে আসছিল রুবেল-রিয়া দম্পতি। এজন্য রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকাকে নিরাপদ মনে করে গড়ে তুলেছিল মাদকের ট্রানজিট। কক্সবাজার সীমান্ত থেকে ইয়াবা এনে রাখা হতো বসুন্ধরার ওই বাসায়। এরপর সেখান থেকে রাজধানী ও আশপাশ এলাকায় তা সরবরাহ করা হতো।

তিনি বলেন, আসামী সিরাজুল ইসলাম রুবেলের সঙ্গে গত দুইবছর আগে সুমাইয়া সুলতানা রিয়ার বিয়ে হয়। রুবেল এসএসসি এবং রিয়া এইচএসসি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন।

গ্রেফতার মফিজুল ইসলাম মাইক্রোবাস চালক, শাকের ও জসিম মাদক ব্যবসায়ী। তারা যাত্রীবেশে টেকনাফ থেকে মাদক বহনের কাজ করতো।

তিনি আরও জানান, ২০১৭ সালের জুলাইয়ে রাজধানীর গোলাপশাহ মাজার এলাকায় একটি রেস্টুরেন্টে বসে মাদক ব্যবসায়ী শাকের ও জসিমের সঙ্গে রুবেলের পরিচয় এবং পরবর্তীতে গভীর বন্ধুত্ব হয়। মূলত এই দুই মাদক ব্যবসায়ীর প্রস্তাবেই রুবেল ইয়াবা ব্যবসা শুরু করেন।

রুবেল আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে ইয়াবা ব্যবসায় পরিচালনা করতেই বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বাসা ভাড়া নেয়। বাসা ভাড়ার ৪০ হাজার টাকা দিতেন দুই মাদক ব্যবসায়ী।

তিনি বলেন, তারা মাদক বহন ও রাজধানীসহ এর আশপাশের এলাকায় সরবরাহের জন্য রেজিষ্ট্রেশনবিহীন মাইক্রোবাস ব্যবহার করতো। এই গাড়িতে একেক সময় একেক নম্বর প্লেট ব্যবহার করা হতো।

জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায়, টেকনাফ থেকে ইয়াবা ট্যাবলেট ঢাকায় পৌঁছানোর পর এর একটি অংশ নরসিংদী ও দোহারে সরবরাহের জন্য রুবেলের ফ্লাটে রাখা হতো।

আইনশৃংখলা বাহিনীর নজরদারি এড়াতে মাইক্রোবাসে তৈরি করা হয় বিশেষ প্রকোষ্ঠ। তাতে টেকনাফ ও কক্সবাজার থেকে লুকিয়ে আনা হয় ইয়াবা।

তিনি বলেন, ইতিপূর্বে এই চালান ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি চালান খুলনা, যশোর, বেনাপোল এলাকায় পাঠানো হয়েছে।

আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে আরও কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ীর নাম পাওয়া গেছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com